এমন উদ্যোগের ফলে ফেইসবুকের সহায়ক অ্যাপগুলো একটি মূল প্ল্যাটফর্মের গোপনীয়তা নীতিমালার আওতায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফেইসবুকের এই পরিকল্পনা নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। অ্যাপগুলো একত্রিত করতে প্রতিষ্ঠান প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ব্যক্তিগতভাবে কাজ করছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে আলাদা অ্যাপ হিসেবে কাজ করে মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ। একত্রিত হওয়ার পরও আলাদা থাকবে অ্যাপগুলো। কিন্তু প্রথমবারের মতো এক অ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপে যোগাযোগ করতে পারবেন গ্রাহক। অর্থাৎ মেসেঞ্জার গ্রাহক চাইলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকের সঙ্গে বার্তা আদান প্রদান করতে পারবেন-- খবর সিএনবিসি’র।
ফেইবুকের এক মুখপাত্র বলেন, তিনটি অ্যাপেই এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন যোগ করা হবে।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj0AMr11WpLhu7KImqaSmFfdw-qYKvYFFN7N8j7lTlDUH95gQB6L3hAlUDWcefe0lbiGkm2QhRbGaxom5FqbBgK_b0B3JmC6i4CgY_8ksSR7dmjQfi-MhWHf57J8Vh_8y32TWde5reE1nLo/s320/Facebook%252Bconfirms%252BRussia%252Bads%252Bon%252BInstagram.jpg)
বড় ধরনের এই একত্রিকরণ প্রক্রিয়ার অ্যান্টিট্রাস্ট উদ্যোগ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।
ফেইসবুকের অ্যাপগুলোর মাসিক সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় আড়াইশ’ কোটি, যা মোবাইল ট্রাফিকের দিক থেকে শীর্ষস্থানে রয়েছে। আগের বছর অক্টোবরে জাকারবার্গ বলেন, তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হলো অ্যাপলের আইমেসেজ সেবা।
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রাম একত্রিত করা হচ্ছে যাতে গ্রাহক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের মেসেজিং সেবার দিকে না যায়।
মোবাইল মেসেজিংয়ে একচেটিয়া আধিপত্য ধরে রাখায় এর আগে ফেইসবুকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নীতি নির্ধারকরা। সেসময় জাকারবার্গ বলেন, গ্রাহকের কাছে বাছাই করার সুযোগ রয়েছে কারণ, সাধারণ মার্কিনীরা আটটি সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ ব্যবহার করেন।
ওই আটটির মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপসহ তিনটি নিয়ন্ত্রণ করে ফেইসবুক। এখন সেগুলো একত্রিত করার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১২ সালে ইনস্টাগ্রাম কেনে ফেইসবুক। আর ২০১৪ সালে কেনা হয় হোয়াটসঅ্যাপ। ফেইসবুকের মালিকানায় স্বাধীনভাবে চলার কথা ছিল অ্যাপগুলো। কিন্তু ক্ষমতা ও বিজ্ঞাপনী কৌশল নিয়ে বিতর্কে গত দুই বছরে প্রতিষ্ঠান ছেড়েছেন ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠাতারা।
পরবর্তীতে ফেইবুকে বিপক্ষে কথাও বলেছেন হোয়াটসঅ্যাপ সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাকটন। গ্রাহককে ফেইসবুক মুছে ফেলার কথাও বলেছেন তিনি।